প্রবাস

মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের পদচারণ: ২২০টি স্থানে ইমিগ্রেশনের নজরদারি

মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের পদচারণা ২২০টি স্থানের মধ্যে জালান সিলাং বাংলা মার্কেট, কোতারায়া কমপ্লেক্স, বুকিত বিনতাং এবং মসজিদ ইন্ডিয়া  অধিক গুরুত্বপূর্ন এই স্থানগুলো সবসময় রয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগের নজরদারিতে। ছবি: সংগৃহীত।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের পদচারণা ২২০টি স্থানের মধ্যে জালান সিলাং বাংলা মার্কেট, কোতারায়া কমপ্লেক্স, বুকিত বিনতাং এবং মসজিদ ইন্ডিয়া  অধিক গুরুত্বপূর্ন এই স্থানগুলো সবসময় রয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগের নজরদারিতে। ছবি: সংগৃহীত।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের (পদচারণা) পরিচিত ২২০টি স্থান সবসময় ইমিগ্রেশন বিভাগের নজরদারিতে রয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরে রাস্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা টিভিতে সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ। জুসোহ বলেন, ২২০টি স্থানের মধ্যে জালান সিলাং, কোতারায়া কমপ্লেক্স, বুকিত বিনতাং এবং মসজিদ ইন্ডিয়া সবসময়ই অধিক গুরুত্বপূর্ন এই স্থানগুলো সবসময়ই ইমিগ্রেশন বিভাগের নজরদারিতে থাকে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কোতারায়া বা জালান সিলাংকে ‘মিনি ঢাকা’ নামে ডাকেন স্থানীয়রা এবং অভিযোগ সেখানে অবৈধ অভিবাসীরা অবস্থান করে। কিন্তু ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে দেখা যায় অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা সেখানে ৬ শতাংশেরও কম।

তবে অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে কোতারায়াকে সবসময়ই ‘হটস্পট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, কোতারায়া এবং জালান সিলাংকে এখন ‘মিনি ঢাকা’ বলে। কারন এখানে বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা জড়ো হন। আসলে ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। মালয়েশিয়ায় এমন কোন জায়গা নেই। আবার মসজিদ ইন্ডিয়াতে আসা অভিবাসীরা বেশিরভাগই ভারত থেকে আসা অভিবাসী। একইভাবে চায়না টাউনে চীনের অভিবাসী বেশি।
জুসোহ বলেন, এসব স্থানে অভিবাসীরা জড়ো হন, কারন তাদের দেশের মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে বা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালালেও কিন্তু অবৈধ অভিবাসী খুব বেশি আটক হয় না। যেমন কোতারায়াতে ৩০০ মানুষের তথ্য যাচাই করলে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ২০ জনেরও কম অবৈধ অভিবাসী। বেশিরভাগেরই বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে ধারণা বিদেশি মানেই অবৈধ অভিবাসী। তবে আমাদেরকে এটাও মেনে নিতে হবে, অভিবাসীরা বেশিরভাগই এখানে বৈধ হিসেবে থাকছেন। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে।
তবে স্থানীয়দের দোষারোপ করছি না। কারন তারা হয়তো অনেক দেখতে দেখতে হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই আমরা অভিযোগ পেলেই অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু দেখা যায় প্রায় সবারই বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং বৈধভাবে এখানে কাজ করছেন। জুসোহ বলেন, আমরা কোতারায়াসহ অন্যান্য হটস্পটগুলো নিয়মিত এবং ফলোআপ মনিটরিং করছি। যেন অবৈধ অভিবাসীদের নিরাপদ স্থান না হয়ে পড়ে।

বারনামা টিভি সাক্ষাতকারে  পরিচালক জানান, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৬৮৭ টি অভিযান পরিচালনা করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। এসময় ১৯ হাজার ৮৭৩ জন অভিবাসীর তথ্য যাচাই করা হয়েছে। যার মধ্যে আটক হয়েছে ১০ হাজার ৪৬৭ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৭৫ জন নিয়োগকর্তাকে অবৈধ নিয়োগের কারণে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button