বিদেশহাইলাইটস

পাকিস্তানের নির্বাচন: এগিয়ে ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা, ক্ষমতায় যেতে নওয়াজের পরিকল্পনা কী

ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও সরকার গঠনের তোড়জোড় চালাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও সরকার গঠনের তোড়জোড় চালাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৯৯ আসন নিয়ে এগিয়ে আছে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এখনো ১৫ আসনের ফল প্রকাশ বাকি। পিটিআইয়ের অপর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৫১টি করে আসন। অন্যান্য প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৭টি। এই অবস্থায় দেশটিতে পরবর্তী সরকার গঠন হবে কীভাবে সে নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তান গণপরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৩৪টি আসন। কিন্তু কোনো দলেরই এককভাবে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে হয়তো আবারও একটি ঝুলন্ত গণপরিষদ দেখতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ জোট গঠন করেই সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের দল পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট গঠন করে সরকার গঠন করতে পারে।  তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুসারে, পিপিপি ও পিএমএল-এনের মোট আসনসংখ্যা হয় ১২২। অর্থাৎ সরকার গঠনে এই সম্ভাব্য জোটের প্রয়োজন আরও অন্তত ১২টি আসন। এরই মধ্যে নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, তাঁর দল বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ খুঁজছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে, লাহোর নিজ বাসভবনের সামনে উল্লসিত সমর্থকদের সামনে দেওয়া এক ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, ‘এই দেশকে অচলাবস্থা থেকে বের নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন যদি জোট সরকার গঠন করে সে ক্ষেত্রে কারাবন্দী ইমরান খানের দলের জন্য তা হবে খুবই হতাশার বিষয়। কারণ, পিএমএল-এনের বা পিপিপির সঙ্গে ইমরান খানের দলের স্বতন্ত্র এমএনএদের জোট বাঁধার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পিপিপির সঙ্গে সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও নওয়াজের দলের সঙ্গে একেবারেই নেই।

তবে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের জোট বাঁধার সম্ভাবনাই বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাতেই বিলাওয়ালের বাবা ও পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে লাহোর গেছেন। ফলে, এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে—নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন করে ছেলেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন করার চেষ্টা চালাবেন আসিফ।

ইমরান খানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই পাকিস্তানে জোট সরকার ছিল। সেই জোট সরকারে পরস্পরের সঙ্গী ছিল পিপিপি ও পিএমএল-এন। এবারও যদি এই দুটি দল জোট গঠন করে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য স্বস্তির হবে।

মাধ্যম
দ্য ডনআল-জাজিরা
সংবাদ উৎস
এনডিটিভি

এমন আরো সংবাদ

Back to top button