দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য বিরাট চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি অনেকের সহ্য হয়নি। তাই এমন একটা চক্রান্ত করা হয়েছিল। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। সমাজের প্রত্যেকটা স্তরের মানুষ কেউ যাতে অবহেলিত না থাকে সে অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করেছি। জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি। জনগণের সংগঠন যদি বাংলাদেশ একটি থেকে থাকে সেটি আওয়ামী লীগ।
এবার নির্বাচন নিয়ে একটা চক্রান্ত ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে সেটি অনেকের সহ্য হয়নি। তাই এমন একটা চক্রান্ত করা শুরু করেছিল। বিএনপি নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসংযোগ শুরু করল। আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আর নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। এ জন্যই তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই কাজে তারা জুগিয়ে ছিল তাদের কিছু প্রভু।
এ সময় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সংঘাত যেন না হয়। একে অপরের দোষ না খুঁজতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত রয়েছেন।