দেশহাইলাইটস

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: বাসস
ছবি: বাসস

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও সেখানে তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেন, ‘বিশ্বের উচিৎ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় বের করা। যাতে তারা স্বদেশে ফিরে গিয়ে সেখানে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে।’  রোববার (২৮ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ক এপিপিজি-র চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপির নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্য সংসদীয় দলের প্রথম সফর।

বৈঠককালে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে অমানবিক নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে দেশত্যাগের পর বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছিল। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও, ছয় বছর পার হওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক আর্থিক সহায়তা কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে উঠছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, জোরপূর্বক দেশ থেকে বিতাড়িত করার সময় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার গর্ভবতী নারী ছিল। ছয় বছর পার হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাস্তবসম্মত কিছুই করেনি। যদিও তারা আগে তা করতে রাজি হয়েছিল। ফলে মিয়ানমারের নাগরিকরা ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

রোহিঙ্গারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। যার মধ্যে মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও রয়েছে যেগুলো থেকে কখনো কখনো রক্তপাতও ঘটছে বলে উল্লেখ করে তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচর দ্বীপে সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। কিছু রোহিঙ্গাকে এরই মধ্যে ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আমরা তাদের জন্য খাবার, চিকিৎসা সুবিধা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি বলে তারা সেখানে অনেক ভালো আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা কয়েকটি ছোট ছোট দলে বিভক্ত। এক দল ভাসানচরে যেতে চাইলে আরেক দল বাধা দেয়।

সংবাদ উৎস
বাসস

এমন আরো সংবাদ

Back to top button