কনকনে শীতে কাঁপছে গোটা দেশ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে ব্যাহত জনজীবন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। তাপমাত্রা কমে বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলাটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে সেখানে তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি কমেছে। ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) যা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে আগামীকাল বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, প্রবল ঠান্ডায় গোটা দেশেই জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও; তা নিরুত্তাপ। তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সমাজের ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলেও, নেই আয়-রোজগার। অন্যদিকে, শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীত-জনিত রোগব্যাধি। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হাসপাতালগুলোয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।