ভ্রমণ

খুলনায় নতুন পর্যটন কেন্দ্র আয় বাড়াবে বন বিভাগের

খুলনা রেঞ্জের কালাবগী পর্যটন কেন্দ্র ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী
খুলনা রেঞ্জের কালাবগী পর্যটন কেন্দ্র ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সুন্দরবনে পর্যটকের জন্য সাতটি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র ছিল। সম্প্রতি নতুন করে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে স্থাপন করা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগীতে আরো চারটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যা বন বিভাগের আয় বাড়াবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, সড়কপথে খুলনা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনসংলগ্ন জনপথ দাকোপ উপজেলার কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রটি গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে পর্যটকের জন্য খুলে দেয় হয়েছে। শেখেরটেক ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রেও পর্যটকের যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। সেখানে ৪০০ বছরের পুরনো কালীমন্দির ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।

খুলনা অঞ্চলের প্রধান বনসংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সুন্দরবনের প্রতি সব দেশের মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকের জন্য সেখানে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। অল্প দিনেই কালাবগী ও শেখেরটেক ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র দুটি মানুষের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রে জনপ্রতি প্রবেশের ফি ৪৬ টাকা। আর শেখেরটেকে জনপ্রতি প্রবেশের ফি ১৭৩। বিদেশী পর্যটকের সুন্দরবনে প্রবেশের ফি বেশি।’ এখান থেকে বন বিভাগের আয় বাড়বে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

কালাবগী ট্যুরিজম কেন্দ্রে আসা পর্যটকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে একটু ভিন্ন রকমের মনে হয়েছে তাদের। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভারপুর সুন্দরবনের আসল চেহারা উপলব্ধি করা সম্ভব সেখানে। কেন্দ্রটিতে চলাচলও বেশ সহজ। পর্যটকের জন্য তৈরি করা হয়েছে নৌযান থেকে ওঠানামার পন্টুন, ওয়াচ টাওয়ার ও বসার জন্য গোলঘর। বনের মধ্যে কিছুটা হাঁটাহাঁটির জন্য রয়েছে কংক্রিটের ফুট ট্রেইল। এখানে দেখা মেলে হরিণ, বানর, কুমিরসহ অনেক বন্যপ্রাণী। ট্যুরিজম কেন্দ্রের রেস্টুরেন্ট থেকে চা, কফিসহ বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কালাবগী নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সব মিলিয়ে অন্য জগতে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি। কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বলেন, ‘প্রতিদিন ট্যুরিজম কেন্দ্রে ভ্রমণে আসেন দেশী-বিদেশী দেড় শতাধিক পর্যটক। এখানে পর্যটকের জন্য নৌকায় করে সুন্দরবনের খালের ভেতর প্রবেশের সুযোগ আছে। মাথাপিছু ১৫০ টাকা সরকারি রাজস্ব দিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে খালে ঘোরা যাবে। এখানে নৌকার মাঝিদের ঘণ্টাপ্রতি ৫০০ টাকা দিতে হয়। খালে কুমির দেখতে পান পর্যটকরা।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button