দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি)। এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগরী এলাকার মোড়ে এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন। জানা গেছে, সংবিধানের ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে ও পরে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধে এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক মোতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এ ছাড়া ৬২টি জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৫টি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী যথাক্রমে ৪৭টি সীমান্তবর্তী উপজেলা ও চারটি উপকূলীয় উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
ভোলা ও বরগুনাসহ উপকূলীয় ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) পার্বত্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সহায়তা দেবে। এ ছাড়া নির্বাচনি সহায়তা প্রদানের জন্য বিমান বাহিনীর পর্যাপ্ত হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে, যা আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানায় আইএসপিআর।