ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে আসতে শুরু করেছেন নেতা–কর্মীরা। ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন দলের নেতারা। এদিকে শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মাঠের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্থায়ী মঞ্চটি নৌকার আদলে সাজানো হয়েছে। মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে। তিনটি ফটক দিয়ে মাঠে প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আজ সকাল ১০টার দিকে রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। মিছিল করে লোকজন সমাবেশস্থলের দিকে আসছেন। তাঁরা কলেজের দুটি ফটক দিয়ে মাঠে ঢুকছেন। সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হেমায়েত মোল্লা (৪৬) সমাবেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের এলাকার কাছে কোথাও সভা করলে আমি সেখানে যাই। সর্বশেষ ভাঙ্গায় গত ১০ অক্টোবর যে সভা করেছিলেন, সেখানেও গিয়েছিলাম।’
শহর ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তার ছোটখাটো মেরামতসহ সাজসজ্জা করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে মাঠে ৫০ হাজার কর্মী–সমর্থক এবং আশপাশের এলাকায় ৭৫ হাজার মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। ফরিদপুরের বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া দলীয় প্রার্থীদেরও সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে সড়কপথে ফরিদপুরে যাবেন। দুপুরে ফরিদপুর পৌঁছে তিনি সার্কিট হাউসে দুপুরের খাবার গ্রহণ করবেন। বেলা তিনটার দিকে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে সভাস্থলে আসবেন। জনসভা শেষ করে সড়কপথে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।