শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা ঘোষণার পর আপিল করার শর্তে এক মাসের জামিন পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন। এ মামলায় ড. ইউনূসসহ চার আসামিকে শ্রম আইন ৩০৩ (ঙ) ধারা লঙ্ঘন করায় ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া শ্রম আইনে ৩০৭ লঙ্ঘন করায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ড. ইউনূসের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান।
আজ সোমবার রায়ের সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আক্তার, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম ও মানবাধিকার কর্মী রেহনুমা আহমেদ।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এতে শ্রমিক অংশগ্রহণ ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং নিট মুনাফার ৫ শতাংশ তহবিলে না দেয়া, শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ না দেয়া, চাকরি স্থায়ী না করাসহ শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।