প্রবাসীদের আসল হিরো আলতাব
আলতাব হোসেন একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে ১৯৯৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। ওই সময় কাজ করে সেখানে টিকে থাকা খুব সহজ ছিলো না। প্রথমে অন্যের কারখানায় কাজ করে শেখা, দেখা। তারপর, নিজের উদ্যোগ। এভাবেই রংপুর পীরগঞ্জের চতরা হাট থেকে আরব আমিরাতের আজমানে গিয়ে কঠোর পরিশ্রমে নিজের ভাগ্য বদলেছেন আলতাব হোসেন। এখন দু’টি প্লাষ্টিক কারখানার মালিক। তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৮০ জন কর্মী। অর্ধেকই বাংলাদেশী।
বিদেশ যাওয়ার সময় বাবাকে বলে গিয়েছিলেন, ‘যদি ভাগ্য ফেরাতে পারেন, তাহলে উপর্জনের অর্ধেক খরচ করবেন এলাকার দরিদ্র মানুষ আর মানবতার সেবায়’। কথা রেখেছেন প্রবাসী আলতাব। নিজের জন্মভূমি চতরায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ একর জমির উপর গড়ে তুলেছেন কমপ্লেক্স। আরবীয় ধাঁচে ওই এলাকার সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি হয়েছে সেখানে। আছে এতিমখানা, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এলাকাটির পরিচিতি হয়েছে ‘আলতাবনগর’ নামে।
সাধারণ কর্মী থেকে অসাধরণ প্রবাসী হয়ে ওঠা আলতাব হোসেন ২০২৩ সালে বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়ে হয়েছেন এনআরবি সিআইপি। ৩০শে ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত জাতীয় প্রবাসী দিবসে তার হাতে রাষ্ট্রীয় এই সন্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এমন আলতাবরাই বাংলাদেশের আসল হিরো। স্যালুট হে প্রবাসী, অভিনন্দন আপনাকে।