রংপুরের পীরগঞ্জের পুত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সেখানে নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। বক্তব্যে তিনি রংপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের এলাকার পুত্রবধূ। কি বাহে, হামাক একখান ভোট দিবা?’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, দেশের কল্যাণে ও জনগণের জন্য কাজ করে। গত ১৫ বছর আমরা টানা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করতে সবাইকে নৌকায় আবারও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করতে পেরেছি। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়। পনের বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে এখন্ আর মঙ্গা হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা দিয়েছিলাম, দেশকে ডিজিটাল করবো। আমরা এটা করেছি। এখন প্রত্যেক মানুষের হাতেহাতে মোবাইল ফোন দেখা যাচ্ছে। এটা আমরাই দিয়েছি। বেকার যুবকরা এখন মোবাইল ফোন দিয়ে টাকাও আয় করছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পনের বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘর করে দিচ্ছি। দেশের প্রত্যেকেরই একটা ঘর হবে। রংপুর যেভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে, ঠিক এমনিভাবে আমরা সারা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের একটা করে ঘর করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা দেশের স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য কমদামে নিত্যপণ্য কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল পায় সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, রংপুর অবেহিলত জায়গা। সব সময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। আমরা রংপুরকে বিভাগ করে দিয়েছি। আলাদা বাজেট করে দিয়েছে। আপনারা সুফল পাচ্ছেন। আমরা মোবাইল ফোন সবার হাতে তুলে দিয়েছি। ব্রডব্যান্ড কানেকশান দিয়েছি। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং করেছি। আপনারা দেশে নয় বিদেশেও অর্থ ইনকাম করতে পারছেন। একটি অ্যাপ দিয়ে ৯টি দেশের ভাষা শিখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। শিক্ষিত জাতি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পীরগঞ্জে কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা ছিল না। আমরা ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা চাই, সবাই আরও বেশি ফসল উৎপাদন করব। আমরা এক ইঞ্চি জায়গা অনাবাদি রাখব না। আমরা চাষাবাদ করব। মাছ, মুরগি, হাঁস পালন করব।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজের পায়ে নিজেরেই দাঁড়াতে হবে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবেন সেটা আমরা চাই। আমরা ওয়াদা করেছিলাম আওয়ামী লীগ সরকার আসলে বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে থাকবে। আমরা ওয়াদা রক্ষা করতে পেরেছি। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুত দিতে পেরেছি। যে কথা বলেছি,সে কথা রেখেছি। আওয়ামীলীগ সবসময় কথা দিয়ে কথা রাখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি ঘটেছে। আওয়ামী লীগ আসার পরে আরা কোন দিন মঙ্গা হয়েছে? আপনার বলতে পারবেন? আজকে আপনাদের কাছে এসেছি সামনে নির্বাচন। একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই স্থিতিশীল অনেকে চাই না। মানুষ মরার ফাঁদ তারা তৈরি তারা করে দিয়েছে। এই দৃশ্য যারা দেখে তা সহ্য করা যায় না। অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষেক হত্যা করে কিসের আন্দোলন। প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে। মানুষের জীবন নিয়ে আমরা খেলতে দেব না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ১৫ বছরে রংপুরে কোনো মন্দা দেখা যায়নি। প্রত্যেক এলাকায় মডেল মসজিদ ও কর্মসংস্থান করে দিয়েছি। দলিত ও হরিজন এদের ঘর করে দিয়েছে। আর এই কাজ অব্যাহত রাখতে হলে আগামী প্রজন্মের জন্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করে দেব, এই কথা দিচ্ছি। আমাদের সরকার স্মার্ট হবে ও অর্থনৈতিক মর্যাদা পাবে। একজন মানুষও বিনা চিকিৎসায় থাকবে না। এই কাজ আমাদের অব্যাহত থাকবে। এরজন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। নৌকা দেবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।’