সিআইপি হলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী সাহাব উদ্দিন
বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন ৫৯ জন। এর বাইরে বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক হিসেবে আরও ১০জনকে সিআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬৯ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি সব সময় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সিআইপি হয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিনসহ মোট ৫৯ জন। সরকার ২০২৩ সালের জন্য তাঁদেরকে কমার্সিয়ালী ইম্পরটেন্ট পারসন (সিআইপি) নির্বাচিত করে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচিত সিআইপিদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ও সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী বা রেমিটেন্স ক্যাটাগরিতে ৫৯ জন সিআইপির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরা সবাই বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সিআইপি মর্যাদা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর পদুয়া (বদলা পাড়া)”র বাসিন্দা মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।
সাহাব উদ্দিন ২০১৪ সালে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উপর উচ্চতর স্নাত্বক ডিগ্রি নেন। ২০১৮ সাল থেকেই রাজধানী কুয়ালালামপুরে ব্যবসা ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে এমএস সার্ভিসেস কনস্ট্রাকশন, এমবি ত্রি স্টার ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস, সারা সেভেন সুপার মার্টসহ ৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। চরম ডলার সঙ্কটের মুহূর্তে তিনি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছেন। এ প্রসঙ্গে শনিবার ২৩ ডিসেম্বর সাহা উদ্দিন জানান, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। বিদেশের মাটিতে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি আজকের এই অবস্থানে এসেছেন। তিনি আরও বলেন সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান তথা সিআইপি নির্বাচন করায় দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। সাহাব উদ্দিন (সিআইপি) বলেন,‘প্রবাসী ভাইদের কল্যাণে আমি সবসময় নিবেদিত। আজীবন দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।’
এদিকে, বর্তমানস সরকার ২০২৩ সালের জন্য ৫৯ জন বাংলাদেশী প্রবাসীকে রেমিটেন্স ক্যাটাগরিতে সিআইপি ঘোষণা করে। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কমর্রত প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর মধ্য থেকে আবেদনের ভিত্তিতে সিআইপি নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত সিআইপিদের (এনআরবি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। দেওয়া হয় গাড়ির স্টিকার। সিআইপি কার্ডের মেয়াদ থাকাকালীন তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পান এবং সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
সিআইপিরা দেশ-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পান। এছাড়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান তারা। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল- রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল চিকিৎসা ও আইনি সহায়তায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ চামেলী ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিং ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এছাড়া বাংলাদেশে থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।