দেশহাইলাইটস

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলী মাহদি সাইয়্যেদ আল-কাবতানি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাতে গাজা ইস্যু নিয়ে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করা উচিত। গাজা ইস্যুতে কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ কাতার এ বছর ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি। এর জন্য বরাদ্দ  ৫০ মিলিয়ন ডলার গাজার জনগণকে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বাংলাদেশও শুকনা খাবার, কাপড়সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে আসা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের যে চিকিৎসকরা বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন, তারা যেন সংঘাতকালেও মানুষের সেবা করতে পারেন, সে জন্য এখানে তাদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ চিকিৎসকরা এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতে কাজ করছেন।

কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ যেন গাজার পরিস্থিতি জানতে পারে, সে জন্য কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্ক গাজা ইস্যুতে নিবিড়ভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে।

গাজা ইস্যুতে বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে কাতারের রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের ৪-৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অষ্টম দোহা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিইএক্স) অংশগ্রহণ করতে একটি আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। আমন্ত্রণপত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি এ প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উদ্যোগে প্রতি দুই বছর পর পর এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশে সফর প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কাতারের আমিরকে স্বাগত জানানোর জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে করা আমন্ত্রণ নিয়েছেন কাতারের আমির। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button