যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে হোটেল রয়েল চুলানে বাংলাদেশ হাইকমিশন দিনটি উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার নৌ বাহিনীর ডেপুটি চিফ ভাইস এডমিরাল দাতো জুলহেলমি বিন ইথনাইন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মালয়েশিয়াতে হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোঃ হাসান তারিক মন্ডল শুভেচ্ছা বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো: শামীম আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বাংলাদেশের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরার বিষয়টি অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন।
হাই কমিশনার দেশের অবদানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক ভূমিকা ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি মুক্তিকামী মানুষ যখন সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা বীরদর্পে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ২১ নভেম্বর ১৯৭১ সালে প্রথমবারের মতো সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী একযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সুসংগঠিত আক্রমণ রচনা করে, যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
হাই কমিশনার বলেন, পেশাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বের বুকে সমাদৃত ও জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী নিয়োগের গৌরব অর্জন করেছে, যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুজ্জ্বল করছে।
অনুষ্ঠানে ৩০টি দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।