লিড নিউজহাইলাইটস

এমসিসির ২০ সূচকের ১৭টিতে রেড জোনে বাংলাদেশ

রেড জোনে বাংলাদেশউন্নয়নশীল দেশগুলোতে আর্থিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের (এমসিসি) সূচকে বাংলাদেশের আরো অবনতি হয়েছে। মার্কিন এ সংস্থার বিশটি সূচকের মধ্যে ১৭টিতেই বাংলাদেশের অবস্থান রেড জোন বা খারাপ। গত বছর ছিল ১৬টি। ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর রেড জোন বা খারাপ ও গ্রিন জোন বা ভালো সংকেত দিয়ে সূচকের মান প্রকাশ করছে এমসিসি। এ সূচকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির মূল্যায়ন করা হয়। সম্প্রতি ২০২৩ সালের মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে এমসিসি। সেখানে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে দেখা যায়, মাত্র তিনটি সূচক রয়েছে গ্রিন জোনে। অন্যদিকে রেড জোনে রয়েছে ১৭টি। এমসিসি প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরে এ প্রথম এত বেশিসংখ্যক নেতিবাচক সূচকে নাম এসেছে বাংলাদেশের।

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক অধিকার, সরকারের কার্যকারিতা, জমির অধিকার ও প্রাপ্যতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকারিতা, বাণিজ্য নীতিমালা, তথ্যে পাওয়ার স্বাধীনতা, ঋণের সহজলভ্যতা, অর্থনীতিতে নারী ও পুরুষের সমতা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয়, প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি ব্যয়, বেসামরিক নাগরিকের স্বাধীনতা, আইনের কার্যকারিতা ও শিশুস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সূচকে রেডজোনে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, টিকাদানের হার ও মাধ্যমিক শিক্ষায় নারীদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পেয়েছে সবুজ মূল্যায়ন।

লাল সূচক বেশি পাওয়ায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়ল যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ ফান্ডের (এমসিএফ) অনুদানপ্রাপ্তি। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কয়েক বছর ধরে এ তহবিলে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে ২০২২ সালের প্রতিবেদনে রেডজোনে ছিল ১৬টি সূচক। আগের বছর ছিল ১৩টি সূচক। ২০১২ ও ২০১৩ সালে বাংলাদেশে রেড জোন সূচক ছিল ১০টি। পরের তিন বছরে কিছুটা উন্নতি হয়। তখন ছিল ছিল ৯টি করে। ২০১৮ সালে ৭ ও ২০১৭ সালে ১০ বাদ দিলে বাকি সময়ে রেড জোন সূচক ছিল ১০ এর বেশি। এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবার মূল্যায়নে ১৭টির মধ্যে আটটি সূচকে রেড জোনে ছিল বাংলাদেশ। পরের তিন বছরে যথাক্রমে ১১, ৯ ও ১০টি রেড জোন। ২০১২ সালে ১৭টি সূচকের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও তিনটি অর্থাৎ মোট ২০টি।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সাহায্য দেয়ার জন্য মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ ফান্ড (এমসিএফ) গঠন করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। দুটি কর্মসূচির আওতায় এ তহবিল থেকে সাহায্য দেয়া হয়। থ্রেসহোল্ড কান্ট্রির আওতায় অনুদানের অঙ্ক ১০ থেকে ৪০ কোটি ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে ৫০ কোটি ডলার থেকে বিভিন্ন অঙ্কের অনুদান দেয়া হয় কমপ্যাক্টের আওতায়। আর এ তহবিল পরিচালনার জন্য ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এমসিসি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button