দেশহাইলাইটস

ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধের জবাবদিহি করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান ঢাকার

গণভবনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। ছবি : ফোকাস বাংলা
গণভবনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর। মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকট সমাধান সম্ভব।’ ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের নেতৃত্বে ঢাকায় অবস্থানরত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বুধবার (১৮ অক্টোবর) গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লার্বি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব এস এম সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের  হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ফাথিয়া আল-বুলুশি, ইন্দোনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রাডেন উসমান এফেন্দি ও মিসরের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি উপস্থিত ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত  নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ওআইসির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা গাজায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, বিশেষ করে সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অতীতের মতো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

আগামী শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সারা দেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাত করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বৈঠকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত গাজা এবং এর আশপাশে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্মমতা বিস্তারিত বর্ণনা করে বলেন, ‘এটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সবচেয়ে উন্নত মার্কিন প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবহার করছে।’

ইউসেফ ওয়াই রমাদান বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গাজায় একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে, সেখানে বেশির ভাগ শিশু ও গর্ভবতী নারীরা ছিলেন।  নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করে খ্রিস্টানদের পরিচালিত ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন এসব শিশু ও নারীরা।’ বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশুনা করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করছেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button