
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিক, জাতিসংঘের সাহায্যকর্মী এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অবজ্ঞা করে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চলমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় চলমান ইসরায়েলি নৃশংসতা নিয়ে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) কার্যনির্বাহী কমিটির একটি উন্মুক্ত ব্যতিক্রমী বৈঠকে যোগ দিতে জেদ্দায় অবস্থান করছেন ড. মোমেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) ওআইসিকে এ বিষয়ে একটি বিশেষ ইউএনজিএ বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাজার হাসপাতালে বর্বরোচিত বোমা হামলার তীব্র নিন্দা করছি, এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’
ড. মোমেন এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বানের জন্য গাম্বিয়ার একটি প্রস্তাবকেও সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে গাজায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সাহায্য কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের হত্যার নিন্দা জানাই এবং ইসরায়েলকে তার যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের প্রতি অসম্মানের জন্য জবাবদিহি করার আহ্বান জানাই।’
ওআইসি জানায়, জরুরিভাবে ডাকা বিশেষ ওআইসি বৈঠকে সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি, যা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। সৌদি আরব ওআইসির বর্তমান চেয়ারম্যান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানায়। এর ফলে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের এক তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা গাজার হাসপাতালে বর্বরোচিত বোমা হামলার তীব্র নিন্দা করছি, যা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গাজায় ইসরায়েল এখন যে অসম যুদ্ধ চালাচ্ছে, তা শুধু অসামঞ্জস্যপূর্ণই নয়, এটি মানবাধিকার ও মানবিক আইনের সমস্ত মৌলিক নীতির লঙ্ঘন এবং এটি সব ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়ার শামিল।’