প্রবাস

মালয়েশিয়ায় মাইশা গ্রুপের বাংলাদেশি কর্মীদের আনন্দ ভ্রমণ

মালয়েশিয়ায় মাইশা গ্রুপের বাংলাদেশি কর্মীদের আনন্দ ভ্রমণ
মালয়েশিয়ায় মাইশা গ্রুপের বাংলাদেশি কর্মীদের আনন্দ ভ্রমণ

মালয়েশিয়ায় মাইশা কনস্ট্রাকশন কর্মীদের প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় ‘মাইশা গ্রুপ অব কোম্পনির’ উদ্যোগে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর দুই দিন ব্যাপী মাইশা ট্রাভেল এন্ড ট্যুরসের পরিচালনায় আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল ৭ টার সময় কোম্পানিটির জিনজাং, কুয়ালালামপুরের অফিসের সামনে থেকে বাস যোগে যাত্রা শুরু করে বুকিত পারমাতা হয়ে লুমুট জেটি থেকে ফেরিতে ২০ মিনিট পরেই তেলুক নিপা বীচের পাংকোর আইল্যান্ডে গিয়ে থামা হয়। পরে ৫টি মিনি বাসে করে ১২.৩০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে, হোটেল কর্মীদের অভ্যর্থনায় শুরু হয় মূল ভ্রমণ।

হাফেজ মাওলানা জাফর হোসাইনীর কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত এ আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠানে কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন কোম্পানিটির চিফ এক্সেকিউটিভ অফিসার মিন্টু এমডি ইসহাক ও কোম্পানির ম্যানেজার ফজলে সজল।  দুপুরের খাবারের পর বিশ্রামের রেশ কাটতে না কাটতেই আইল্যান্ডের বিচে প্রি-মহড়া দেওয়া হয়। সেখানেই যেন ট্যুরের অর্ধেক স্বার্থকতাই সম্পন্ন হয়। রাতে খাসির বারবিকিউর মধ্যে জমে উঠে ভ্রমণের স্বার্থকতার গ্রাফ।  সকালে মূল পর্বে ৩টি মিনি বোটে ট্যুরিষ্টদের নেওয়া হয় ৪টি আইল্যান্ডে। এক একটা আইল্যান্ড যেন কোমল নিঃশ্বাসের ইনহেলার। ছবি তোলা, ভিডিও করার মধ্যে নাচ-গান ও কবিতা আবৃতিতে পাঙ্কর আইল্যান্ড হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।  আইল্যান্ডের পানির মধ্যেই আয়োজন করা হয় ফুটবল খেলার। ফুটবল খেলায় মাইশা আর্জেন্টিনা ও মাইশা ব্রাজিল গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলা শুরু হয়। খেলার প্রথমার্ধে মাইশা ব্রাজিল এক গোল খেলেও আজমীর, রাসেল, সাইফুল ও হারুনের নৈপুণ্যে মাইশা ব্রাজিল জয়লাভ করে।
আইল্যান্ডের নিপা বিচে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হতে থাকায় বেলা ২টার মধ্যেই ফিরতে হয় কূলে। এরপর গোসল সেরে ফেরার পথে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়তি নলেজ যোগ করার জন্য বিশেষ মসজিদ ভ্রমণের। আইল্যান্ডের পানির উপরের মসজিদ আল বদর মালয়েশিয়াকে করেছে সত্যি মনোমুগ্ধকর। অনেকেই মসজিদে ভিতরে যেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে যেন বিশেষ তৃপ্তি পেয়ে বসেন।  ছবি তোলা, ভিডিও করার মধ্যে নাচ-গান ও কবিতা আবৃতি এবং পঙ্কর আইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনে কখন যে সময় পার হয়ে যায় তা কেউ বুঝে উঠতে পারিনি।
ফিরতি বাসের দুলুনির মধ্যেই যখন সবার মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব তখন মাইশা ট্রাভেলসের ব্র্যান্ড ডেভেলপার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আচমকা ঘোষণা করেন, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার। এ প্রতিযোগিতায় প্রত্যেককে একটি করে প্রশ্নের কাগজ দেওয়া হয় এবং সাথে সাথে তার উত্তর দেওয়ার আহবান করা হলে সবার মধ্যে থেকে ২৮ জন সঠিক উত্তর দিতে স্বক্ষম হলে লটারির মধ্যে থেকে ৩ জনকে বেছে নেওয়া হয় পুরস্কারের জন্য। এদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন মুজিবুর রহমান, দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করেন ফারুক হোসেন, এবং তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন হাফেজ মাওলানা জাফর হোসাইনী।
কর্মীদের মধ্যে কোম্পানির রিফ্রেশমেন্টের এ আনন্দ ভ্রমণ সম্পর্কে মতামত প্রদান করেন, কোম্পানিটির সুপারভাইজার, সাইফুল, হারুন এবং আজমীর হোসেন, তারা তাদের কোম্পানিকে অন্য কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, “প্রজেক্ট শেষে আমাদের মত কর্মীদের জন্য এমন আনন্দ ভ্রমণের ব্যবস্থা সত্যি এক আনন্দের। আমাদের সামনে যেখানে অনেক কর্মীর কাজ মিলছে না আবার কাজ করেও মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেনা, সেখানে আমরা বেতন বোনাস পাবার পরও পাচ্ছি বসের সাথে ঘোরার আনন্দ।” কোম্পনিটির লোকাল ইঞ্জিনিয়ার, মুহাম্মদ মোহাইমিন বলেন, “ইনি কোম্পানি বাগুস, চানতে। তেরিমা কাছি মাইশা।” অর্থাৎ এ কোম্পানী ভালো, অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ মাইশা কোম্পানি।  বাসের মধ্যেই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ জ্ঞান কুইজ পর্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফজলে সজল। সর্বশেষ কোম্পানিটির কর্ণধর, মিন্টু এমডি ইসহাকের আহবানে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় রিফ্রেশমেন্টের আনন্দ ভ্রমণ।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button