জেলার খবরহাইলাইটস

পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ২ নভেম্বর

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ

৮৫চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। চট্টগ্রামের পুরনো কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর সংস্কারকাজ পরিদর্শনকালে গতকাল এ ঘোষণা দেন তিনি। ১২ নভেম্বর নিজে উপস্থিত থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মেরামতকাজ পরিদর্শনে গতকাল কালুরঘাট সেতুতে যান রেলপথমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ ভবিষ্যতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশের বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন। প্রকল্পের ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হলেও কালুরঘাট সেতু মেরামতকাজ শেষে ট্রায়াল ও উদ্বোধন হবে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রয়োজনে আগামী বছরের প্রথম দিকে কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।

পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী মোটর ট্রলিতে করে দোহাজারী থেকে নতুন নির্মিত রেলপথ ধরে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতু পায়ে হেঁটে পার হন তিনি। পার হওয়ার সময় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেন। তাগিদ দেন সেতু মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও কালুরঘাট সেতু মেরামত পরামর্শক দলের প্রধান এএফএম সাইফুল আমিন।

রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সংস্কারের পর বর্তমান কালুরঘাট সেতু দিয়ে আরো অন্তত ২০ বছর ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আগে এ সেতু দিয়ে ১২ টনের লোকোমোটিভ চলাচল করলেও সংস্কারের পর ভারী লোকোমোটিভও চলাচল করতে পারবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ হলেও কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনসহ আরো আটটি স্টেশনের নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হয়নি। তবে আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে কাজ সম্পন্ন করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ১ আগস্ট তিন মাসের জন্য কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে। চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ কালুরঘাট সেতু। সড়কপথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল করে। ১৯৩০ সালে নির্মিত হয় ৭০০ মিটার দীর্ঘ কালুরঘাট রেলসেতু। ১৯৫৮ সালে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button