মালয়েশিয়ায় বৈধ হতে আবেদন করেছেন, অনথিভূক্ত প্রায় ৭ লাখ অভিবাসী। করোনা পরবর্তী সময়ে দেশটির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের জনবলের চাহিদা পূরণে সরকারের দেয়া ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২.০) কর্মসুচি অধীনে বৈধ হতে প্রায় ৭ লাখ অনথিভূক্ত অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (কেডিএন) মাসিক অধিবেশন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন।
দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর চাহিদা মেটাতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে রিক্যালিব্রেশন আরটিকে ২.০ শুরু হওয়া প্রেগ্রামটি শেষ হবে এই বছরের ৩১ ডিসেম্বরে।
আর মাত্র দুই মাস বাকি রয়েছে, এর মধ্যে নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তাদের নিয়োগকর্তারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারে কর্মীদের যাচাই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামের মাধ্যমে লেভি, ভিসা ফি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া বাবদ সরকার অর্ধবিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের বিদায়ী হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার সে দেশের ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় মহাপরিচালক, মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়স্থানে থাকলেও, রি-ক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ার আওতায় এ বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে চলে আসবে বলেছেন মহাপরিচালক। তবে এ কর্মসুচির আওতায় কতজন বাংলাদেশি আবেদন করেছেন, তা জানা যায়নি।
