পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাব টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অগ্রগতির জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য জরুরিভিত্তিতে, আমাদের এমন একটি আর্থিক স্থাপত্য ব্যবস্থা গঠন করা প্রয়োজন যার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য, বিশেষ করে সংকট, জরুরি অবস্থা এবং দুর্যোগের সময়ে তহবিল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে কার্যক্রমের উপর নিউইয়র্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পিএমএনসিএইচ এর বোর্ড চেয়ার হেলেন ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতকালে হেলেন জানিয়েছেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে বাংলাদেশ এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সেজন্য তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় স্বাস্থ্য খাতের কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ ও জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসডিজি-৩ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ শতকরা ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে; যা আমাদের এ খাতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের যে প্রচেষ্টা তারই প্রতিফলন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী হতে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হলো ‘যতক্ষণ পর্যন্ত সবাই নিরাপদ নয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়”। কোভিড অতিমারী প্রমাণ করেছে যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে যেকোন সংকট থেকে পুনরুদ্ধার সম্ভব। আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্বসূচকে পঞ্চম স্থান লাভ করেছি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে যেকোন স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য ৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সহজলভ্য অর্থায়ন; বিজ্ঞান-ভিত্তিক পদ্ধতিতে অতিমারী নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি সংস্থান ইত্যাদি।