আঞ্চলিক উৎপাদন কেন্দ্র ও পণ্য রফতানিকারক হিসেবে কাজ করছে মালয়েশিয়া। তবে দেশটি ধীরগতির চাহিদার কারণে অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ২০২৫ সাল পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্যবর্তী পর্যালোচনা সংসদে উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘তার সরকার প্রবৃদ্ধি বাড়াতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যের ডিজিটাল প্রযুক্তি, দুষ্প্রাপ্য খনিজ সম্পদ এবং অন্যান্য শিল্পকে উৎসাহিত করতে চায়’। খবর নিক্কেই এশিয়া। দেশটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫-৫ দশমিক ৫ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা প্রাক-মহামারী স্তরের অনুরূপ।
প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য বর্তমান পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারের ব্যয়ের সীমা বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য মোট ৪১ হাজার ৫০০ কোটি রিঙ্গিত (৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার) বরাদ্দ করেছেন। এ রকম নানা প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ধীরগতিতে চলছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে, যা প্রথম প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। বৈদেশিক চাহিদা দুর্বল রয়েছে, যা জুলাইয়ে রফতানিতে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে।