হিরো অফ দি ডে

গিনেস বুকে জবির অংকন

জাহিদুল ইসলাম অংকন। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম অংকন। ছবি: সংগৃহীত

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অংকন। ‘ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ অ্যান্ড টপেল ফাইভ ইরেজার’ টাইটেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। অংকন জবির নাট্যকলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে পাঠানো স্বীকৃতিমূলক ই-মেইল পেয়েছেন অংকন। তাঁর রেকর্ডের বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি অংকনের কার্যক্রমকে রেকর্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানোর কৃতিত্ব ছাড়া অংকনের রয়েছে অন্য একটি পরিচিতি। তিনি একজন লেখক। এ পর্যন্ত তাঁর ৪টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম উপন্যাস ‘শূন্য ঠিকানা’ প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের একুশে গ্রন্থমেলায়। এরপর ‘খোঁপার বাঁধন’, ‘দখিনা চিঠি’ ও ‘হাওয়া’ যথাক্রমে ২১, ২২ ও ২৩ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। জাহিদুল ইসলাম অংকনের এই কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের মাত্রা যোগ করেছে।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ২ দশমিক ৪৭ সেকেন্ডে ৫টি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে জাহিদুল ইসলাম অংকন নতুন এ রেকর্ড গড়েন। চলতি বছরের ১৭ মে তিনি এই রেকর্ডের জন্য অনলাইন মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কাছে আবেদন করেন। গত ২৩ আগস্ট ই-মেইলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অংকনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অনুভূতি প্রকাশ করে নিজের ফেসবুক ওয়ালে অংকন লেখেন, ‘আমার পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। পারছি না শুধু হাউমাউ করে কান্না করতে। আপাতত আপনাদের দোয়া চাই। এখন শুধু সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা।’

আনন্দ প্রকাশ করে অংকন বলেন, ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতো সম্মানীয় একটি জায়গায় নিজের নাম লেখাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। রেকর্ডটি আগে মালয়েশিয়ান এক নাগরিকের ছিল। তাঁর থেকেও কম সময়ে রেকর্ড গড়ে সেটি বাংলাদেশে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’ করোনাকালকে কাজে লাগাতে এই চিন্তার উদ্ভব হয়েছিল জানিয়ে অংকন আরও বলেন, ‘তখন অলস সময়ে চিন্তা করেছিলাম নতুন কিছু করার। সেই থেকেই বারবার চেষ্টা করি রেকর্ড করার জন্য। অনেকবার চেষ্টার পরে আমি সফল হয়েছি। আমার বাবা-মাকে এই গৌরবময় অর্জন উৎসর্গ করছি।’

 

এমন আরো সংবাদ

Back to top button