দেশহাইলাইটস

দক্ষিণ এশিয়ায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সামিট গ্রুপ

পরিচ্ছন্ন জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ

দক্ষিণ এশিয়ায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সামিট গ্রুপদক্ষিণ এশিয়ায় সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে সামিট গ্রুপ। পরিচ্ছন্ন জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ খাতে সম্প্রসারণ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যেই এ বিনিয়োগ করবে গ্রুপটি। গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান আজিজ খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুরভিত্তিক হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল ভারতে ব্যাটারি স্টোরেজসহ এক হাজার মেগাওয়াট সৌর ও বায়ুশক্তি প্রকল্প নির্মাণ করবে। আমরা ভারতীয় বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য বিদ্যুতের উৎস হবে। এমনকি প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের চেয়েও এটি সস্তা হবে। সামিট গ্রুপ এক ডজনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট পরিচালনা করে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি পরিচালনার জন্য দেশের দুটি ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) মালিকানাধীন সামিট ভুটান ও নেপালে ৭০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বৈশ্বিক এলএনজির দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। যার ফলে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান খাতগুলোয় চাহিদা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হচ্ছে।’

এলএনজি গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু ছিল, কারণ এর ফলে লাখো মানুষ প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ গ্রিডে অন্তর্ভুক্ত হয়। গত দশকের দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে এলএনজি থেকে। সামিট চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘নতুন সরবরাহ বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে এলএনজির দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আগামী শীতের পর গ্যাসের দাম কমবে।’ সামিটের দ্বিতীয় এফএসআরইউ ২০২৬ সালের এপ্রিলে কার্যক্রম শুরু করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button