বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার জারুলিয়া এলাকায় এখন চাষ হচ্ছে খুলনার বিখ্যাত চুইঝালের। প্রায় ১০ একর পাহাড়ি এলাকা জুড়ে এই চুইঝালের আবাদ করেছেন দীপ্ত এগ্রোর মালিক ইফতেখার সেলিম অগ্নি । জানা যায়, চুইঝালের কাণ্ড বা লতা কেটে ছোট টুকরো করে মাছ-মাংস রান্নায় ব্যবহার করা হলে ভিন্ন মাত্রার স্বাদ যোগ হয় তাতে। রান্নার পর এই টুকরো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়া হয়। ঝাল স্বাদের হলেও চুইয়ের রয়েছে নিজস্ব স্বাদ ও ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ ও স্বাদের কারণে দেশ জুড়ে এর চাহিদা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা খুলনা-যশোর এলাকায়। ওই এলাকাগুলোতে প্রতি কেজি ৮০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে চট্টগ্রাম এলাকায় এর চাহিদা তেমন না থাকলেও বিভিন্ন রেস্তোরাঁর রান্নায় ভিন্ন স্বাদ আনতে ব্যাবহার করা হয়।
দীপ্ত এগ্রোর মালিক ইফতেখার সেলিম অগ্নি জানান, উপজেলার জারুলিয়াছড়ি এলাকায় ১০০ একর জমিতে মালটা-কমলা, অ্যাভাকাডো, ১২ মাসি সজনে, কাজুবাদাম ও চুইঝালসহ নানা ফলের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১০ একর জমিতে যশোর থেকে এনে চুইয়ের আবাদ করেন। প্রথম দিকে এই চারা আনতে গিয়ে অর্ধেক চারা নষ্ট হয়ে গেলেও বর্তমানে তার প্রজেক্টে প্রায় ২২ হাজার চুইয়ের চারা রয়েছে। যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হারভেষ্ট করার উপযোগী হবে। চট্টগ্রামে চুইয়ের চাহিদা কম থাকায় যশোর বা খুলনা বিভাগে সরবরাহ করবেন। তিনি আরও জানান, তার দীপ্ত এগ্রোতে ৫০ জনেরও বেশি স্থানীয় জনগণ কাজ করে জীবিকা করেন।