আগামীকাল ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী। এদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবীর মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী জুড়ে নিশ্ছিদ্র ও সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান। ডিএমপি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘১৫ আগস্টের এই দিনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন। নির্বাচনের বছর হওয়ায় লোক সমাগম বিগত বছরের তুলনায় আরো বেশি হবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পুরো এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেককে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি চেকপোস্ট ও আর্চওয়ে গেটের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সকলকে পূর্বপাশের গেট দিয়ে প্রবেশ করে পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে একমুখী রাস্তায় বের হতে হবে। ব্যাগ বা অন্যকোন কিছু সঙ্গে আনা যাবে না।’ সম্মানিত নগরবাসীকে কর্তব্যরত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের বছরে কেউ যাতে কোনো প্রকার নাশকতা করে সরকার ও পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে না পারে, এজন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সকল আবাসিক হোটেল ও মেসগুলোতে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। যেকোন হুমকি প্রতিরোধে ডিএমপির ডিবি ও সিটিটিসির সাইবার পুলিশ প্রতিনিয়ত সাইবার ওয়ার্ল্ডে পর্যবেক্ষণ করছে।’ তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে, জঙ্গি বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই জাতীয় শোক দিবসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।’ সবমিলিয়ে ঢাকা মহানগর জুড়ে জাতীয় শোক দিবসের যে কর্মসূচি থাকবে সেটি যাতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে উদযাপিত হয়, সেজন্য সম্মানিত মহানগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো, আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।