প্রবাসহাইলাইটস

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান ও সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক

১৯ জুন রাজ্যের চিফ মিনিস্টার ওয়াইবি দাতুক সেরি পাংলিমা হাজি হাজিজি নূরের সাথে বৈঠকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সরোয়ার। ছবি সংগৃহীত। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশ দুটির পারস্পরিক সহযোগিতার হাতও সুদৃঢ়। উভয় দেশ কমনওয়েলথ অব নেশনস, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন, উন্নয়নশীল ৮টি দেশ, জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য। মালয়েশিয়া স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ মালয়েশিয়া। বিশ্বের একটি বড় বাণিজ্য দেশ হওয়ায় মালয়েশিয়াকে আসিয়ান দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে এবং বাণিজ্য ক্রমবর্ধমানভাবে প্রসারিত হচ্ছে যা বাংলাদেশকে ভারতের পর দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার করে তুলেছে।

বর্তমান সময়ে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজের পরিমাণ প্রায় ৩৭১.৮৪ মিলিয়ন ডলার। ২০১০ সালে ছিল মাত্র ৫৬ মিলিয়ন ডলার। যা থেকে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আঁচ করা যায়।

বাংলাদেশ ৬৫ ধরণের বিভিন্ন পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করে থাকে। রপ্তানি আয়ের বড় আসে তৈরী পোশাক খাত হতে। এছাড়াও শাক-সবজী, খাদ্যসামগ্রী, মাছ, সিরামিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, পাটজাত পণ্য, খেলনা, মেশিনারিজ পণ্য প্রভৃতি উল্লেখ যোগ্য রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বড় বাজারও দেশটি। দুই দেশের সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে ২০২২ সালের আগষ্ট থেকে দেশটিতে শুরু হয় বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখেরও বেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়েছেন। ২০২৩ সালের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশী সেখানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। প্রবাসী বাংলাদেশীরা হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় ব্যাপক সফলতার পরিচয় দিচ্ছেন।

সেকেন্ড হোম হিসেবে কয়েক হাজার এ্যাপার্টমেন্ট ও ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন বাংলাদেশী বিত্তশালীরা। শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্টই নয়, জমি-জমা লিজ নিয়ে কৃষি খামার বা ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা, হোম সার্ভিস, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, গাড়ি বেচাকেনা বা ভাড়ায় ব্যবসা, আইটি ব্যবসা, ফাস্ট ফুড, কফি সপসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছেন অনেক বাংলাদেশী।

মালয়েশিয়ায় সম্ভাবনাময় ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন চেইন শপের ফ্যাঞ্চাইজি, ল্যাঙুয়েজ সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অফিস স্থাপন, সেলুন দোকান, কারওয়াশ, রেন্ট-এ কার, সাইবার ক্যাফে, মোবাইল লোড-ফটোকপির দোকান, টেইলারিং শপ, ফলের দোকান, প্রিন্টিং ব্যবসা ইত্যাদি। এ ছাড়াও কিছুটা বড় পরিসরে জমি লিজ নিয়ে সবজি আবাদ/কৃষি খামার, মৎস্য চাষের মতো ব্যবসা করা যায়।

উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। এছাড়া এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
পাশাপাশি বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া। উভয় দেশ তাই নিজেদের মধ্যে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রগুলো ক্রমশ সম্প্রসারিত করছে।

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এর নানা উদ্যোগ:
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হয়েছে গতবছর।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং মালয়েশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত পণ্যের কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
মালয়েশিয়ার বিনয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণ এবং অন্যান্য দেশের ন্যায় পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সম্পসারণে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় হাইকমিশন এর তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণ। ২০২২ এর আগস্ট হতে এ বছরের আগস্ট অবধি ৬টি এধরণের মেলায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেছেন এবং এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পেয়েছেন।

দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বারসমূহের সমন্বয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের সাথে কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, লজিস্টিক, হালাল বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ নানাবিধ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিকসহযোগিতার ভিত্তিতে দুইদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করার ক্ষেত্র তৈরী।
মালয়েশিয় সরকারের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সম্মৃদ্ধ সেলাঙ্গর, পেনাং, জহর বারু, সরাওয়াক এবং সাবাহ রাজ্য সরকারের সাথে বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ বিষয়ে পৃথকভাবে নানবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে তুলেছে। যাতে অবকাঠামোসহ সব ধরনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থারাখা হয়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে ৮ম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ এবং বিনিয়োগের পরিমাণ ৯০৪.০৪ মিলিয়ন ডলার।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার সে দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্যআহ্বানও জানিয়েছেন। সম্প্রতিব্যবসা-বাণিজ্য- বিনিয়োগ পেশা ভিত্তিক মানবসম্পদ প্রেরণ এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে সারাওয়াক বিজনেস ফেডারেশেনের সঙ্গে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছে।
১৩ জুলাই মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ রাজ্য সারওয়াকের রাজধানী কুচিংএ সারাওয়াক বিজনেজ ফেডারেশেনের অফিসে এই চুক্তিসই হ

য়। চুক্তিতে সই করেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার এবং সারাওয়াক বিজনেজ ফেডারেশেনের প্রেসিডেন্ট আবাং হাজী আব্দুল করিম বিন তুন দাতুক আবাং হাজীওপেং।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এসবিএফ সারাওয়াকের ২১টি শীর্ষ শিল্প ও ব্যবসায়ী সংগঠনকে প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংস্থা হিসাবে কাজ করে যার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যবসার প্রসার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করা এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এমন সমস্ত বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজকরা। এছাড়াও রাজ্যের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে তরুণ উদ্যোক্তা এবং ব্যবসার পরামর্শদাতা হিসেবে এবং সরকারি-বেসরকারি সেক্টরের/স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে একটি সক্রি য়সেতুবন্ধন হিসেবেও এসবিএফ মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সারাওয়াক রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষ্যে ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলন, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের পরিদর্শন, বাণিজ্যমেলা, ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি আয়োজন করার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

এছাড়াও সারাওয়াকের বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসায়ী সংগঠনের চাহিদার আলোকে দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ, বাংলাদেশি ছাত্র ও পেশাভিত্তিক কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, কর্মশালা, সেমিনার বা অন্যান্য শিক্ষামূলক উদ্যোগ, অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সারাওয়াক বিজনেজ ফেডারেশন পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে।

এর আগে ১৯ জুন রাজ্যের চিফ মিনিস্টার ওয়াইবি দাতুক সেরি পাংলিমা হাজি হাজিজি নূরের সাথে এবং ১২ জুলাই রাজ্যর প্রিমিয়ার (রাজ্য সরকার প্রধান) পাটিঙ্গি তানশ্রী আবাং জোহারি তুন ওপেং ও মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে পেশাভিত্তিক দক্ষ মানব সম্পদ গ্রহণসহ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপক্ষিক সকল বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সারাওয়াক রাজ্যকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে এবং এক্ষেত্রে এই চুক্তির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার এই অঞ্চলের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যায়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, সারাওয়াক বিজনেস ফেডারেশন এবং অ্যাসোসিয়েটেড চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রি, সারাওয়াকের সেক্রেটারি জেনারেল জনাথান চাই ভুনটকসহ ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধির পথে হাটছে, সেখানে প্রধান অন্তরায় বিনিয়োগ সঙ্কোচন। তাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়লে চলতি অর্থ বছরেই ৮শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।
স্বল্প পুঁজিতে নিরাপত্তার মধ্যেই ব্যবসা করার পরিবেশ আছে মালয়েশিয়ায়। অবশ্য কেউকেউ হয়রানির শিকারওহচ্ছেন। তবে এর সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা হোটেল-রস্টুরেন্ট ব্যবসায় ব্যাপক সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করলে পাঁচ বছর পওে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া যায় সহজেই। ২বছর পর পর ভিসা নবায়ন কওে আজীবন বসবাস করা যায়। ৫ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বেও জন্য আবেদন করা যায়। গত কয়েক বছওে অšতত ৫হাজার বাংলাদেশী স্থায়ী নাগরিকত্ব বা মালয়েশিয়ান পাসপোটর্ পেয়েছেন বলেও জানা যায়।
বিশ্বে প্রযুক্তি ও যান্ত্রিক বিকাশ ঘটছে দ্রুত। উন্নত বিশ্ব এবং চীনসহ অনেক উদীয়মান অর্থনীতিতেই শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই তারা জনশক্তির বিকল্প হিসেবে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারকে প্রাধান্য দিচ্ছে। অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনশক্তিকে দক্ষ কওে তুলতে না পারলে এক সময় দেশ বৈদেশিক শ্রমবাজার হারাবে। নিম্ন উৎপাদনশীল শ্রম শক্তিকে সময়োপযোগী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপ করিয়ে উচ্চ উৎপাদনশীল জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

এ প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়দের কাজে দক্ষ কর্মী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতির পাশাপাশি ফলপ্রসূ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশেকে তুলে ধরার এখনই উপযুক্ত সময়।

মালয়েশিয়ার সাথে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে কাজে লাগাতে পারলে আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button