প্রবাসহাইলাইটস

হুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামাল – হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতারা। ছবি সংগৃহীত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতারা। ছবি সংগৃহীত।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামাল। তিনি ছিলেন দেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ এবং যুব সমাজের জন্য আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার তার বক্তব্যে এ কথা বলেন। হাইকমিনার আশা প্রকাশ করেন শহিদ শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে, শনিবার ৫ (আগষ্ট) স্থানিয় সময় বিকেল ৫ টায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের হলরোমে অুনষ্টিত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার। সভা পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীন।

সভা শুরুর আগে হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার কর্তৃক  শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর লেবার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর কন্স্যুলার জিএম রাসেল রানা । বাণী পাঠ শেষে অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘শেখ কামাল এক কিংবদন্তির কথা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের এবং শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায় হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হাইকমিশনার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে শহিদ শেখ কামালের মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আলোচনা সভায় মিনিস্টার শ্রম নাজমুস সাদাত সেলিম,দুতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হাসান তারেক মন্ডল , প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব পাসপোর্ট ও ভিসা উইং মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামুদ্দিন, প্রথম সচিব (শ্রম) এএসএম জাহিদুর রহমান, প্রথম সচিব শ্রম সুমন কুমার দাসসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আলোচনা সভায় কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মকবুল হোসেন মুকুল, দাতুশ্রী কামরুজ্জামান কামাল,কাইয়ূম সরকার, মনিরুজ্জামান মনির, দাতুশী সেলিম জালাল, জহিরুল ইসলাম জহির প্রমূখ।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button