নির্বাচন

এফবিসিসিআই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

554ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ভোটগ্রহণ শুরু হয়।  ভোট দেয়ার জন্য একজন ভোটারকে একটি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হচ্ছে। একজন ভোটার ব্যালট পেপারে উল্লেখিত প্রার্থীদের মধ্যে ২৩ জনকে ভোট দিতে পারবেন।

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের মোট ৮০ পরিচালকের মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুসারে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন পরিচালক হিসেবে এরই মধ্যে মনোনীত হয়েছেন। এর বাইরে চেম্বার গ্রুপের ২৩ জন এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২৩টি পদে সম্মিলিতভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও চেম্বার গ্রুপের ২৩টি পদের বিপরীতে ২৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ায় চেম্বার গ্রুপের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ২৩ পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে পরিচালক প্রার্থী হিসেবে ‘ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল’ থেকে ২৩ জন, ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল’ থেকে ২৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন।

সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত হতে হলে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণের বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সঠিক নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায় এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র নির্বাচন বোর্ড গঠন করেছে এফবিসিসিআই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া। পছন্দের প্রার্থীকে মূল্যবান ভোটটি দিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য সঠিক নেতৃত্বকে বেছে নেয়ার দায়িত্ব সম্মানিত ভোটারদের। আমি ভোটারদের আহ্বান জানাই, আপনারা শৃঙ্খলা বজায় রেখে, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে এফবিসিসিআইকে সহযোগিতা করুন।’

ভোট গ্রহণ শুরু হলে ভোটারদের সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ড। ভোট শেষে ভোটিং এলাকায় অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা না করে দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করতেও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। এফবিসিসিআইয়ের ২০২৩-২৫ মেয়াদের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি এ. মতিন চৌধুরী। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. শামছুল আলম ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক কেএমএন মঞ্জুরুল হক।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী বলেন, ‘সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে আমাদের।’

এর আগে ভোট প্রদানবিষয়ক নির্দেশনায় এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোট দেয়ার জন্য একজন ভোটারকে একটি মাত্র ব্যালট পেপার সরবরাহ করবেন পোলিং অফিসাররা। কোনো ভোটারকে ডুপ্লিকেট বা অতিরিক্ত ব্যালট দেয়া হবে না। ব্যালট পেপার সরবরাহের সময় ভোটারের কাছ থেকে তার ভোটার আইডি কার্ড রেখে দেয়া হবে, যা আর ফেরত দেয়া হবে না। একজন ভোটার ব্যালট পেপারে উল্লেখিত প্রার্থীদের মধ্যে ২৩ জনকে ভোট দিতে পারবেন। ২৩ জনের কম বা বেশি প্রার্থীকে ভোট দিলে ওই ব্যালট বাতিল বলে গণ্য হবে। ভোট গ্রহণের ১৫ মিনিট আগে সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স উন্মুক্ত করে প্রদর্শন করা হবে এবং সিলগালা করে ব্যালট বাক্স বন্ধ করা হবে।

নির্বাচন বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভোটার ছাড়া অন্য কারো নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার থাকবে না। নির্ধারিত ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোনো প্রার্থী বা ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটের দিন নির্বাচন কেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে কোনো প্রচারণা, মিছিল বা শো-ডাউন করতে পারবেন না প্রার্থীরা। নির্বাচন কেন্দ্র বা তার আশপাশে কোনো প্রার্থী ভোটারদের উপহারসামগ্রী দিতে পারবেন না। এমনকি কোনো প্রার্থী বা ভোটার নির্বাচন কেন্দ্রে কোনো ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বা বিপজ্জনক কোনো বস্তু বহন করতে পারবেন না।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button