দেশহাইলাইটস

উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু ঢাকায়

 উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু ঢাকায় মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে এসেছে। সেই দলে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পর মার্কিন প্রতিনিধি দলকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ওয়াশিংটন থেকে দিল্লি সফর শেষে উজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এসেছে। বাংলাদেশ সফরে তাদের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের লক্ষ্যে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আজ সকালে কক্সবাজার যাবেন। দিনভর কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় তাদের ঢাকা ফিরে আসার কথা রয়েছে।

দিল্লি ও ঢাকা সফরের আগে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন উজরা জেয়া। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের পর টুইটে এ মার্কিন কূটনীতিক বলেন, ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রমের ন্যায্য চর্চা এবং মানবিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে ধন্যবাদ। আমি দুই দেশের শক্তিশালী অংশীদারত্ব আরো গভীর করার জন্য উন্মুখ।’

মার্কিন প্রতিনিধি দলটির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রফিকুল আলম ৬ জুলাই সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘উজরা জেয়ার এ সফর মূলত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেয়ার এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যকার যোগাযোগ জোরদার করার একটি প্রয়াস। সফরকালে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ ছাড়াও প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।’

ওইদিনের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি নির্বাচনের জন্য আসছে, এ রকম তথ্য আমার কাছে নেই। আমাদের যে মেকানিজমগুলো আছে সেটারই একটা ধারাবাহিকতা, এখানে অনেক ইস্যুই আলোচনা হবে। তার মধ্যে নির্বাচনও আসতে পারে। এখানে অন্য অনেক ইস্যুজ আছে—মানবাধিকার আছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবে, কাজেই আমেরিকার রিসেটলমেন্ট ইস্যুগুলো আছে, সেগুলো শর্টআউট করার বিষয় আছে, শ্রম ইস্যুজ আছে, ট্রেড ইস্যুজ আছে। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অনেক মেকানিজম কাজ করছে। যিনি (উজরা জেয়া) আসছেন তিনি যেহেতু রিলেটিভলি সিনিয়র, সুতরাং ওনার ম্যান্ডেটের যেসব অ্যাক্টিভিটি বা স্ফেয়ার্স অব এরিয়াস আছে বেশ ব্যাপক। সুতরাং অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে একটা হয়তো থাকতে পারে নির্বাচন। সেটা আমরা রুল আউট করছি না। কিন্তু এটা যে ইলেকশনকেন্দ্রিক ভিজিট সেটাও ভাবা ঠিক হবে না।’

এমন আরো সংবাদ

Back to top button