এন্টারটেইনমেন্ট

সিজিআই ছাড়াই কেরালার বন্যা নিয়ে দুর্দান্ত সিনেমা

২০১৮: এভরিওয়ান ইজ আ হিরো

‘‌২০১৮: এভরিওয়ান ইজ আ হিরো’ সিনেমার শুটিং থেকে ছবি: দ্য হিন্দু বর্তমানে সিনেমা মানেই যেন সিজিআইয়ের ছড়াছড়ি। হলিউডের মতো বলিউডেও সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি) দিয়ে বিশেষ ভিজুয়াল ইফেক্ট তৈরি করা হয়। ভারতে বলিউডকে আবার এদিকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা করছে দক্ষিণ ভারত। বাহুবলী ও আরআরআর দিয়ে এসএস রাজামৌলি ভারতে সিজিআইয়ের নতুন দুনিয়া তৈরি করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই কেরালা প্রমাণ করল অতিরিক্ত সিজিআই ছাড়াও অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করা সম্ভব। সম্প্রতি মালয়ালম সিনেমা ‘‌২০১৮: এভরিওয়ান ইজ আ হিরো’ সে বার্তা দেয়। জুড অ্যান্থনি জোসেফের সিনেমাটি ৫ মে থিয়েটারে মুক্তি পায়। এক মাসের মধ্যেই বিশ্বে মোট ২০০ কোটি রুপি আয় করে ওটিটিতে মুক্তি দেয়া হয়েছে সিনেমাটি।

২০১৮ সালে কেরালায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যার ঘটনা নিয়ে নির্মিত এ সিনেমা। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দায়িত্ববোধের কথা বলা হয়েছে। এর সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বন্যার সে পরিস্থিতি। সিজিআই একদমই ব্যবহার করা হয়নি এমন নয়, তবে তা করা হয়েছে খুবই কম। নির্মাতারা ম্যানুয়ালি সেট তৈরি করে তাতে শুটিং করেছেন। ম্যাটিনি লাইভের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক অ্যান্থনি বলেন, ‘‌ভালো মানের গ্র্যাফিকস ব্যবহার করে বন্যা দেখাতে গেলে অনেক বেশি খরচ হতো। মালয়ালম সিনেমার সে সামর্থ্য এখনো হয়নি। আমরা তাই সত্যিকারের পানি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিই। সিনেমার অভিনেতাদের আপনারা পানির মধ্যেই দেখেছেন। আলুভা নদী ২০২২ সালের আগস্টে যখন ফুলে উঠেছিল তখন বন্যার দৃশ্যগুলো নেয়া হয়। আর এয়ারলিফটের দৃশ্য আমরা শুট করেছিলাম আট রাত্রি ধরে।’

এর বাইরে সিনেমার সেট, ঘরবাড়ি ইত্যাদি পুরনো ধারার সিনেমার মতো সবকিছুই তৈরি করে নেয়া হয়েছিল। সিনেমার প্রডাকশন ডিজাইনার মোহনদাস বলেন, ‘‌ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বাঁধ সবই তৈরি করা হয়েছিল সিনেমার জন্য। বন্যার জন্য একটি পুকুর তৈরি করা হয়েছিল। দুই একর জমিতে সেটা বানানো হয়েছিল।’ সিনেমার জন্য বেশ কয়েকজন শিল্প নির্দেশকের কাছে গিয়েছিলেন জুড। শেষ পর্যন্ত মোহনদাসের সঙ্গেই তার কাজের ধারা মেলে।

সংবাদ উৎস
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এমন আরো সংবাদ

Back to top button