এক বছরের ব্যবধানে দেশে তালাকের হার দ্বিগুণ হয়েছে। আর গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ হার এখন সর্বোচ্চ। পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে দেশে শিশু মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ছিল। এ সময়ে এক মাস, এক বছর থেকে পাঁচ বছর বা সব বয়সী শিশুর মৃত্যুহার বেড়েছে। একই সময়ে বেড়েছে বাল্যবিবাহের হারও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে প্রতি হাজারে তালাকের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪ জন। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭ জন। গত পাঁচ বছর এ হার হাজারে একজনের নিচে থাকলেও এবার প্রথমবারের মতো তা প্রায় দেড় শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আর ২০২০ সালে এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৮ জন। যা ২০১৮ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৯ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে শহরের তুলনায় গ্রামে তালাকের হার বেশি। শহরে ২০২২ সালে প্রতি হাজারে তালাকের হার একটি। এ সময়ে গ্রামে তালাকের হার ১ দশমিক ৪টি। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে তালাক বৃদ্ধির হার বেশি। দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত, বিধবা অথবা দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। যেখানে বিবাহিত মানুষের হার ৬৩ শতাংশ এবং অবিবাহিত জনসংখ্যার হার ২৮ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে বাল্যবিবাহ। ১৮ বছরের আগে বিয়ে হচ্ছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ নারীর। ২০২১ সালে এ হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ১৫ বছরের আগে নারীদের বিয়ের হার ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি।