দেশহাইলাইটস

গরম বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র হচ্ছে লোডশেডিং

541গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। রাজধানী বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত দুই বিতরণ কোম্পানির আওতায় থাকা গ্রাহকরাও তীব্র ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। বিশেষত আজ বুধবার (৩১ মে) সকাল থেকে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কয়েক দিনের তুলনায় দুর্ভোগ বেড়েছে।

বিতরণ কোম্পানিগুলো জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফলে বিতরণ এলাকায় লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, আজ যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তাতে ঘাটতি থাকছে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সকাল ৬টা পযন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দুপুরের পর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং আরো তীব্র হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য থেকে জানা গেছে, বৃহৎ কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রার উৎপাদন একটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। আরেকটি ইউনিট থেকে গতকাল সন্ধ্যায় ৬২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়েছে। এছাড়া রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গতকাল ৩২৫ মেগাওয়াট সন্ধ্যা পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকার একটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত রয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। বিতরণ কোম্পানিটির দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের মতো। এর বিপরীতে পাচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট। বিশেষ করে সংস্থাটির পিক আওয়ার থাকে বেলা ১২ থেকে ৩টা পযন্ত। এ সময় বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বণিক বার্তাকে বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় প্রতিদিন লোডশেড করতে হচ্ছে। বিশেষত ডিপিডিসির আওতায় ৩০০-৩৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং থাকছে। গরম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বাড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

সকাল থেকে লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে রাজধানীর আরেক বিতরণ কোম্পানি ডেসকো। আধা ঘণ্টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা পযন্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। তবে দুপুরের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।

এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কথা জানাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button