নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য তিন কোটি ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এ ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ কেনা হবে। ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় এ ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। মঙ্গলবার (৯ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচন কমিশনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিএমটিএফ) থেকে তিন কোটি ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড ৪০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় নির্বাচন কমিশনের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আটটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সবগুলো প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পাঁচটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। এ আট প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ তিন হাজার ২০৯ কোটি ৫০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে তিন হাজার ১০০ কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৭ টাকা এবং এডিবি অর্থায়ন করবে ১০৯ কোটি এক লাখ ২৮ হাজার ৮২৭ টাকা।