প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি জাপানে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় টোকিওতে জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। তিনি গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন। পরে বিকেল ৩টা ৩৫মিনিটের দিকে (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করতে সম্মত হয়েছেন। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে অনেক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার জন্য শরণার্থী শিবির পরিচালনার খরচ বাড়ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।’
২০২৬ সালের মধ্যে জাপানের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করতে চান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে তরুণদের একটি বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশাল বাজার রয়েছে।’