
রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে গত কয়েক দিন ধরে। আগামী সাত-আট দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় যেকোনো সময় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সংকট মোকাবেলায় ‘তাপমাত্রাজনিত জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যায় কি না। গত দুই দিন শুক্র ও শনিবার অফিস-আদালতে ছুটি ছিল। তাই আগামীকাল ও পরশু (রবি ও সোমবার) দুই দিন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাপমাত্রা যদি এরপরও বাড়তে থাকে, তবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায়- সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার পর্যন্ত টানা ১৪ দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানায়, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু, ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রিকে মাঝারি, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রিকে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে ‘অতি তীব্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালের খেপুপাড়ায় ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইপিএমডাব্লিউএফ) আজ থেকে আগামী ১০ দিনের পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বলছে, ‘আগামী সাত থেকে আট দিন বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালীতে টানা তীব্র দাবদাহ ও দেশের অন্যান্য জেলায় মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। প্রথমে কয়েকটি জেলায় ‘মৃদু’ তাপপ্রবাহ ছিল। পরে কয়েকটি জেলায় ‘মৃদু’র পাশাপাশি ‘তীব্র’ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।