জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আবেদন জমা ১০ মে পর্যন্ত
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছরই এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’-এর লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১০ মে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
রোববার ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়ে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ দেয়ার লক্ষ্যে সরকার থেকে গঠিত ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ডের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে অথবা সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের দুই কপি ডিভিডি বা পেনড্রাইভে জমা দিতে হবে।
পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী, কলাকুশলী, ব্যক্তিদের প্রত্যেকের চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবিসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিশুশিল্পীর ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
প্রতি বছরের মতো এবারো ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হলে অনুসরণ করতে হবে কিছু শর্ত। তার মধ্যে প্রথম শর্ত, আবেদন করতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে (২০২২ সালে) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সেগুলো বিবেচ্য বছরে (২০২২ সালে) সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।