বাহারি রঙের বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ এ সবজির বড় ক্রেতা শহরাঞ্চলের বড় বড় হোটেল ও রেস্তোরাঁ। কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় চাষিদের কাছেও কদর বাড়ছে ক্যাপসিকাম চাষের। ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীতে এবার লাল, হলুদ ও সবুজ ক্যাপসিকাম চাষে সাড়া ফেলেছেন কৃষক মনজুর আলম। কৃষক মনজুর আলম ঝিকরগাছা উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের সামছুদ্দীন মোড়লের ছেলে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় টানা চার মৌসুম ক্যাপসিকাম চাষ করছেন তিনি। ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করে নিজে চারা উৎপাদনের পর নেদারল্যান্ডসের ‘বাচেতা’ জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করছেন তিনি। এক বিঘা জমিতে পলিথিনের ছাওনি (শেড) ব্যবহার করে এটি চাষ করছেন এই কৃষক। এতে খরচ হচ্ছে মাত্র দেড় লাখ টাকা।
কৃষক মনজুর আলম জানান, এ বছর ক্যাপসিকামের বাম্পার ফলন হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ১৫ লাখ টাকা লাভের আশা করছি। এরই মধ্যে সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাজারে ক্যাপসিকামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এক বিঘা জমির প্রায় শতভাগ গাছের প্রতিটি গাছেই ক্যাপসিকাম ধরেছে। ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ক্যাপসিকামও হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে তিনি সি-ট্রেতে চারা উৎপাদনে বীজ ফেলেন। চারার বয়স ২৬ দিন হলে সেগুলো ক্ষেতে রোপণ করেন। গাছের বয়স ৫৫ দিন হলে ফলন শুরু হয়। মনজুর আলমের খেতে তিন ধরনের ক্যাপসিকাম রয়েছে। লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের।
তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষি অফিস ক্যাপসিকাম চাষের ব্যাপারে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে। সরকারি সহায়তা পেলে ব্যাপক হারে চাষাবাদ করে এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে বিশ্বাস। ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফুলের পর গদখালীতে এভাবে ক্যাপসিকাম চাষ অব্যশই সাফল্যের। মনজুর আলম কয়েকবার ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন। তাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।