আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জয়পুরহাটে উৎপাদন বেড়েছে সজনে ডাঁটার। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে সজনে ডাঁটার দেখা মিলছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে সজনে ডাঁটা।স্থানীয় ও চাষিরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রচুর সজনে ডাঁটা ধরেছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সড়কের পাশে, ঘরের আনাচে-কানাচের প্রতিটি গাছে ঝুলছে সজনে ডাঁটা। এক সময় বাড়ির আশপাশের সীমানায় সজনের গাছ লাগানো হতো। তবে সময় পরিক্রমায় এবং চাহিদা থাকায় কৃষকরা ফসলি জমিতে সজনের চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজনের চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন তারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি সজনে ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম কিছুটা কমে এসেছে। বর্তমানে পাইকারি ৬০-৭০টাকা ও খুচরা বাজারে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে সজনে বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) জয়পুরহাট সদর উপজেলার নতুনহাট থেকে ট্রাকে করে সজনের ডাঁটা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিতে দেখা যায়। ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা আনু মণ্ডল জানান, মৌসুমের শুরুতে ১২০ টাকা দরে সজনে ডাঁটা বিক্রি হয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমান বাজারে ৮০-৯০ টাকায় সজনে ডাঁটা বিক্রি হয়েছে।
পাইকারি সবজি বিক্রেতা রবিউল আলী জানান, দেশের সব অঞ্চলে সজনে ডাঁটার চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর সজনে ডাঁটা চট্টগ্রাম-ঢাকা, নাটোর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করে থাকি। জয়পুরহাট অঞ্চলে ব্যাপক সজনে ডাঁটার গাছ রয়েছে। এ বছর ঝড়-বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে সজনে ডাঁটার ফলন বেশি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর লাভ বেশি হচ্ছে।
সজনে বিক্রি করতে আসা সৌরভ কুমার বলেন, সজনে চাষ করা অন্য গাছের চেয়ে সহজ। সজনের গাছের ডাল থেকে নতুন গাছের সৃষ্টি হয়। এ বছর ডাল রোপণ করলে আগামী বছর গাছে ফলন হয়। বাড়িতে বড় ৪-৫ টা গাছ থাকলে বছরে ৭-৮ হাজার টাকা আয় করা যায়।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছা. রাহেলা পারভীন বলেন, সজনে একটি ডাঁটা জাতীয় সবজি হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে। এটি বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়। সুস্বাদু সবজি সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। সজনে চাষে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও এটি জয়পুরহাটসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উৎপাদন হয়।