বাংলাদেশের মূল উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়াতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল কন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ ও এডিবির ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন এডিবি প্রধান। এডিবি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রসারিত করবে জানিয়ে আসাকাওয়া বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে এডিবি।
সংস্থাটির প্রধান বলেন, বাংলাদেশের মূল উন্নয়ন অগ্রাধিকারের জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। গত দেড় দশক ধরে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে স্থির ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। দেশটির এই রূপান্তরিত হওয়া আমি প্রত্যক্ষ করেছি। বাংলাদেশের কাছে এডিবি আরও সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে আরও বড় আকারে সহায়তা করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে আসাকাওয়া বলেন, বিশেষ করে গত দেড় দশকে ২০১৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০১৯ সালে কোভিড মহামারির ঠিক আগে ৭ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পায়। মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ১ হাজার ২১০ ডলারে পৌঁছেছিল। এটি ২০২২ সালের মধ্যে ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে উন্নীত হয়। ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে গ্রাজুয়েশন হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। এডিবি জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের অধীনে একটি রেল স্টেশন এবং এডিবি জরুরি সহায়তা প্রকল্পের অধীনে আশ্রয়প্রাপ্ত লোকদের জন্য কক্সবাজার ক্যাম্পে একটি পানি সরবরাহ সুবিধাসহ এডিবি অর্থে বাস্তবায়িত নানা প্রকল্প পরিদর্শন করবেন মাসাতসুগু আসাকাওয়া। এছাড়াও তিনি একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।