আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সভায় বাংলাদেশের ঋণের অনুরোধ অনুমোদন করা হয়। আইএমএফ’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ জানিয়েছে, আগামী ৪২ মাসে বাংলাদেশ সাত কিস্তিতে এই ঋণ পাবে। ঋণের গড় সুদ হবে দুই দশমিক দুই শতাংশ।
ঋণের মোট পরিমাণের মধ্যে আইএমএফ-এর ‘বর্ধিত ক্রেডিট সাপোর্ট’ থেকে পাওয়া যাবে তিন দশমিক তিন বিলিয়ন এবং ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি ফ্যাসিলিটি’-এর আওতায় আসবে আরও এক দশমিক চার বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ বিবৃতিতে বলেছে যে এই ঋণ বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল, সামাজিক ও উন্নয়ন ব্যয়ের সক্ষমতা তৈরি, প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন, আর্থিক খাতকে শক্তিশালীকরণ করতে, নীতি কাঠামোর আধুনিকায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক বিবৃতিতে ঋণ অনুমোদনের জন্য আইএমএফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকের সন্দেহ ছিল যে আইএমএফ আমাদের এই ঋণ দেবে না। ‘তারা ভেবেছিল যে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক ক্ষেত্রগুলো দুর্বল, তাই আইএমএফ ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকবে, কিন্তু (এটি) বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ কামাল বলেন, এই ঋণ অনুমোদন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক ক্ষেত্রগুলো একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, যা অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো।