
মোহাম্মদ ফেরদৌস এর উপস্থাপনায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার ও অন্যান্য শহিদ সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দুতাবাস প্রধান (কাউন্সিলর শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন ও ২য় সচিব আতাউল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করার পর দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে দেশ ও জাতির উপর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
শেখ রাসেলের জন্ম, শৈশব, শিক্ষা জীবন, পরিবার, পছন্দ, তাঁর উপর রচিত গ্রন্থ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার এবং সনদ প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যবৃন্দের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন শেখ রাসেল-এর জীবন আমাদের জন্য, বিশেষত শিশু-কিশোরদের জন্য আদর্শ ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিরাপদে বেড়ে উঠা ও তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ নিশ্চিত করতে তিনি সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ অনুষ্ঠানে মিসরে বসবাসরত বিভিন্ন বয়সের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।