পায়ে হেঁটে নেপাল-ভারত-শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশ ভ্রমণ করছেন নেপালি যুবক ‘ই’। বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে শুরু করে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া পর্যন্ত হেঁটে যাবেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটায় নীলফামারী জেলা শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হন ‘ই’।
বাংলাদেশে হাঁটা কর্মসূচিতে তাঁর সঙ্গে টাঙ্গাইল থেকে যোগ দিয়েছেন আলোকচিত্রি ও লেখক হোমায়েদ ইসহাক মুন এবং নীলফামারী থেকে যোগ দিয়েছেন নীলফামারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুল করিমসহ আরও কয়েকজন। চারদিন পরই তেঁতুলিয়ায় পৌঁছাবেন তাঁরা।
‘ই’ বলেন, ‘প্রতিদিন ২২ থেকে ২৫ কিলোমিটার হাঁটছি আমি। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ আমি। সুস্থ থাকতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাংলাবান্ধা হয়ে নেপাল গিয়ে পরবর্তী দেশ নির্বাচন করব।’
তিনি বলেন, ‘২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সমগ্র নেপাল হেঁটে ভ্রমণ করেছি। ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কারগিল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে সমগ্র ভারত ভ্রমণ শেষ হয়। সেখানে এক মাস বিশ্রাম শেষে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রবেশ করি।’
হাঁটা কর্মসূচির সহযোদ্ধা হোমায়েদ ইসহাক মুন বলেন, ‘এভারেস্ট পর্বতের গিয়ে ‘ই’ এর সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। সেই সুবাদে বাংলাদেশ এলে আমাকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটা কর্মসূচি শুরু হয় তাঁর।’ ‘ই’ এর উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইবতিদা রহমান শীর্ষ বলেন, ‘আমি অভিভুত। তিনি আমাদের বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। আমিও উদ্বুদ্ধ হয়েছি তাঁর হাঁটায়।’
নীলফামারী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুল করিম বলেন, ‘ই একজন উদাহরণ। তাঁকে অনুসরণ করে আমরাও উদ্যোগি হতে পারি।’
হাঁটায় উদ্বুদ্ধ করতে মানুষকে সচেতন করছেন ২৮ বছর বয়সী নেপালের কাঠমান্ডুর যুবক ই। বাংলাদেশে এক হাজার কিলোমিটার হাঁটলে চার দেশে ১৪ হাজার কিলোমিটার হাঁটা হবে তাঁর। ইতোমধ্যে তাঁর সাড়ে সাতশ কিলোমিটার হাঁটা হয়েছে।