ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে দেশটি সফরে থাকা বাংলাদেশের একটি ইয়ুথ ডেলিগেট টিম। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাৎ হয়। বাংলাদেশের ডেলিগেশ টিমের উদ্দেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এর উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নের যাত্রা ভাগাভাগি করে চলেছে। এই চেতনা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, যা দুই দেশ এবং জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করে।
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যেভাবে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে, তাদের উচিত ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সোনালী যুগের সূচনা করতে একই আবেগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের হৃদয়ে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আমাদের গভীর সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। আমরা শিল্প, সঙ্গীত এবং সাহিত্যসহ নিজেদের মধ্যে অনেক কিছুর অংশীদার।
তিনি বলেন, ভারত সর্বদা বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তারা এর পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০১২ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম। এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, উভয় দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও বোঝাপড়া গড়ে তোলা এবং তরুণদের মধ্যে ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি প্রচার করা।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।