‘হিমালয়-কন্যা’ খ্যাত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের প্রকৃতিতে নেমেছে আগাম শীত। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যা হতেই নামছে শীত। রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আশ্বিনের শেষে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। এর আগে সপ্তাহজুড়ে মেঘলা আকাশ আর মাঝে মাঝে বৃষ্টি, নিয়ে আসে শীতের আবহ। তবে দিনে সূর্যের আলো ছড়ালে শুরু হয় তীব্র গরম।
শুক্রবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও স্থানীয়রা জানান, উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। শীতের আমেজ শুরু হয় অক্টোররের শেষ দিকে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই দেখা দিচ্ছে শীতের আমেজ। এবার তা আরও একটু এগিয়ে আসছে। গত এক সপ্তাহজুড়ে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছিল।
শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার মুসুল্লি আব্দুল আওয়াল বলেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি আর মেঘের কারণে শীত শুরু হয়েছে মনে হচ্ছিল। শুক্রবার ফজরের নামাজের সময় ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। এবার শীতের তীব্রতা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ থেকে রাতে শীত শীত লাগছে। কিন্তু দিনে রোদ দেখা দিলে বেশ গরম লাগে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই তাপমাত্রা সারাদেশের মধ্যেই সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘হিমালয় কন্যা’ হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। এবারও এখানে শীতের পদধ্বনি শুরু হয়েছে। শীত নিয়ে দুঃস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার সুবিধাভোগীদের মাঝে শীতের শুরুতেই আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি রয়েছে।