গত সপ্তাহ থেকে পর্যটকদের জন্য নিজেদের দুয়ার উন্মোচন করেছে জাপান। তবে দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ থাকার ফলে দোকানপাট, হোটেলগুলো লোকবল বা কর্মী সংকটের মুখোমুখি। এ অবস্থার মধ্যেও নিজেদের পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করছে দেশটি। খবর রয়টার্স।
আজ থেকে জাপান কয়েক ডজন দেশের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণের অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী কঠোরতাগুলোকেও উঠিয়ে দেবে বলে জানা যায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করছেন। গত ২৪ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে ইয়ানের সর্বনিম্ন মান কমার বিষয়টি এ উদ্যোগের মাধ্যমে খানিকটা পুষিয়ে নেয়া যাবে বলে তিনি মনে করছেন।
২০১৯ সালে জাপান ঘুরতে এসেছিলেন রেকর্ডসংখ্যক ৩ কোটি ৮ লাখ পর্যটক। বিপরীতে ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখের মতো পর্যটক পেয়েছে দেশটি। ২০২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ঘিরে সরকারের লক্ষ্য ছিল চার কোটি পর্যটক আকর্ষণের। যদিও করোনা মহামারীর কারণে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হয়নি।
গত সপ্তাহে কিশিদা বলেন, সরকার পর্যটন বাবদ বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৩৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তবে মহামারীর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত এ খাত ঘিরে তা খানিকটা উচ্চাভিলাষী।
সরকারি তথ্যানুসারে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে জাপানের হোটেল কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে ২২ শতাংশ।