অর্থনীতিহাইলাইটস

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৪৪.৬০%

চলতি বছরের প্রথমার্ধ

চলতি বছরের প্রথমার্ধইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়কালে ইউরোপের পোশাক আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। ইউরোস্ট্যাট বলছে, ওই সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি ৪৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে তাদের বৈশ্বিক আমদানি বেড়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানির মূল্য ১ হাজার ১৩১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বণিক বার্তাকে বলেন, মুলত করোনা মহামারী থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বেড়েছে। তবে মুল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের বাকি সময়ে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে সেটি ভাবনার বিষয়।

অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারণে শীতের পোশাক চাহিদাও ইউরোপে তুলনামুলকভাবে কম বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মোট পোশাক রফতানি আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল। ফলে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের আমদানি গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে। তবে পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা আপাতত সতর্ক অবস্থানে আছেন।

উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস ছিল চীন। সেখানে আমদানি ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। চীন থেকে তাদের আমদানি ১ হাজার ২২২ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

অপরদিকে তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক তুরস্ক থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তুরস্কের আমদানির মূল্য ছিল ১ হাজার ৮৯ কোটি ডলার।

একই সময়ে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ উৎস যেমন কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ, ৩২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ হারে বেড়েছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button