বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেছেন, ‘শান্তি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ভালো প্রণোদনা এবং নিয়ম-নীতির কারণে সৌদি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার পাশাপাশি ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পৌঁছানোর লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির উন্নয়নে সৌদি আরব তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
সৌদি আরবের ৯২তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সৌদি রাষ্ট্রদূত এক বার্তায় বলেন, ‘২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সফর ও বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং উচ্চ পর্যায়ের অনেক বাংলাদেশির সফরের পর সৌদি-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্কের মজবুত ভিত্তির ওপর সৌদি-বাংলাদেশ সম্পর্ক গভীর ও চমৎকার।’
সৌদি আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে থেকে বিশেষ করে দুঃসময়ে সাহায্য করে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরাও ইসলামপ্রিয় এবং সৌদি আরবকে গুরুত্ব দেয়। সেই স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনে তার সাহায্যের হাত প্রসারিত করে।’
অন্যদিকে, প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবের বিভিন্ন খাতে কাজ করছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম শ্রম বাজার হিসেবে স্বীকৃত। প্রতি বছর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি কর্মীরা সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ দেশের সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য সৌদির বিরাট অবদান রয়েছে।’
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার অনেক জেলা প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব একটি নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যখন দুর্যোগে আক্রান্ত হয় তখন সর্বদা সহযোগিতা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে তার দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি হাসপাতাল, সেতু ও বৈদ্যুতিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মতো বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করে সহায়তা দিয়েছে।