ড্রাইভিং লাইসেন্সের জট খুলেছে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে থাকা সাড়ে ১১ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফলে ভোগান্তিও অনেকটা দূর হবে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ তিনি এ কথা জানান। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ উপস্থাপনা করেন বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে তিনি বলেন, এ বছরই আমাদের মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন হবে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। আমার হাতে এখন ৮৭টি ছোট বড় সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পৃথিবীর বহু জায়গায় সীমান্ত সড়ক আছে, আমাদের সীমান্তে ৩০০ কিলোমিটার সড়কের কাজ সেনাবাহিনী শুরু করেছে। পাহাড় অঞ্চলের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। পাহাড়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে, সে কারণে সেসব অঞ্চলের পণ্য দ্রুত শহরে চলে আসতে পারছে।
মন্ত্রী বলেন, মধুমতি নদীর ওপর নির্মাণাধীন ছয় লেন বিশিষ্ট কালনা সেতুর নির্মাণকাজও এ মাসে শেষ হবে। আশা করছি অক্টোবরের যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রী এ সেতুরও উদ্বোধন করবেন। এটি হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলার সংযোগ স্থাপন হবে। মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগাঁরগাও অংশের উদ্বোধন হবে ডিসেম্বরে। আগামী বছর ডিসেম্বরের আগেই মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী টানেলের দুটি টিউবের একটি অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, অন্যটির উদ্বোধন নভেম্বরে।
মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা কম হলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ড্রাইভিংয়ের বিষয়ে অনেক কিছু করার আছে। মহাসড়কে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ইজিবাইকে বাসের ধাক্কা লাগলে আটজন থাকলে সবাই মারা যাচ্ছে। মোটরসাইকেল মোটামুটি কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি। ঢাকা সিটিকে দুজন থাকলে মাখায় হেলমেট থাকছে। রোড সেফটি এ মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার।