বিদেশীদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু সৌদি আরবের
ভ্রমণ খাতে বাণিজ্য বাড়াতে অঞ্চল কেন্দ্রিক ভিসা ব্যবস্থায় নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব। এ কারণে দেশটিতে বিদেশীদের প্রবেশ আগের চেয়ে সহজ বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও শেনজেন অঞ্চলের বৈধ ভিসাধারীদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল সুবিধা আবারো চালু করেছে সৌদি আরব। তিনটি অঞ্চলের যে কোনো দেশের ভিসা রয়েছে এবং সৌদি, ফ্লাইনাস বা ফ্লাইডেল এ তিন উড়োজাহাজ সংস্থার যেকোনো একটির উড়োজাহাজে ভ্রমণ করলে কোনো ধরনের আগাম আবেদন ছাড়াই ১২ মাসের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে।
শর্ত হিসেবে আরো বলা হচ্ছে, সে সব ভ্রমণকারীর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা শেনজেন ভিসা রয়েছে তাদের অবশ্যই ভিসা ইস্যুকারী দেশ বা অঞ্চলে অন্তত একবার ব্যবহার করতে হবে।
সৌদি পর্যটন মন্ত্রী আহমেদ আল খাতিব স্বাক্ষরিত একটি ডিক্রি জারি হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে এ সব তথ্য জানা গেছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন ভিসা নিয়ম সৌদিতে বিদেশীদের ভ্রমণ আরো দ্রুত ও সহজ করবে। অন-অ্যারাইভাল সুবিধার কারণে সংশ্লিষ্ট দেশের সৌদি দূতাবাসে ভিড়ও কমবে।
এ ছাড়া জিসিসি অধিভুক্ত দেশের বাসিন্দারা অনলাইনে ই-ভিসার আবেদন করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অধিভুক্ত দেশের বাসিন্দারা পাচ্ছে অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা।
বলা হচ্ছ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা শেনজেন চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর একটি থেকে বৈধ ভিসাধারী পর্যটক বা ব্যবসায়ীরা অন-অ্যারাইভাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এখানেও শর্ত হলো ইস্যুকারী দেশে প্রবেশের জন্য ভিসা কমপক্ষে একবার ব্যবহার করতে হবে।
২০১৯ সালে চালু হওয়া ই-ভিসা প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য যেকোনো দেশের নাগরিকরাও অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো এয়ারলাইন্স ব্যবহারের শর্ত নেই।
করোনা মহামারীতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সৌদি আরবের নতুন উদ্যোগ পর্যটন খাত। কড়াকড়ির কারণে হজের মৌসুমও ছিল বিদেশীশূন্য। এখন মহামারী পরবর্তী সময়ে অবসর, ব্যবসা ও ধর্মীয় খাতে ভ্রমণের সুবিধা পুরোপুরি খুলে দিচ্ছে দেশটি। ভিসা-অন-অ্যারাইভাল ব্যবস্থা এর চূড়ান্ত পদক্ষেপ। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই সব খাতের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিদেশী পর্যটকদের জন্য ব্যাপকভাবে খুলে দেওয়ার ছয় মাসের কম সময়ের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব। তখন ১১টি গন্তব্য ও ২৭০টির বেশি প্যাকেজের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভ্রমণে উৎসাহিত করা হয়।